কক্সবাজারে অতিরিক্ত মূল্য ও নানা অভিযোগে জামান রেস্তোরাঁ সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা!

আবু সায়েম, কক্সবাজার :

কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে রেস্তোঁরা, দোকানদার, তরমুজ বিক্রেতাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে ৫২ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।

শনিবার বিকেলে পরিচালিত এ অভিযানে নেতৃত্বে দেন জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা।

এ অভিযানে মূল্য তালিকা দৃশ্যমান স্থানে না টানানোর অপরাধে বাহারছড়া বাজারের তিনটি দোকানকে মোট ৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও, ঘুন গাছতলা বাজারে ক্রয় রশিদ না দেখাতে পারা ও অতিরিক্ত মূল্য দাবি করায় তিনজন তরমুজ ব্যবসায়ীকে ৭ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়।

অন্যদিকে, অতিরিক্ত মূল্য, পণ্যের গায়ে ট্যাগ না থাকা, মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য আলাদা করে না রাখা ও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকার অপরাধে কলাতলীর গ্রীন ভ্যালি সুপার শপকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও, অতিরিক্ত দাম, রান্নাঘরের পরিবেশ উপযুক্ত না রাখা ও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা যথাযথ না থাকায় জামান রেস্তোরাঁকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা জানান, ভোক্তাদের অধিকার রক্ষা এবং বাজারে নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। আমরা বাজারে সকল পণ্যের ন্যায্য মূল্যে বিক্রির পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ভোক্তাদের অধিকার লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে শহরে জামান রেস্তোরাঁর বিরুদ্ধে হালিমের অতিরিক্ত মূল্য নিয়ে গ্রাহকের সাথে প্রতারণা করার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এ রেস্তোরাঁ ১১ মাস খাবারের অতিরিক্ত মূল্য নিয়ে পর্যটক এবং স্থানীয়দের পকেট কাটলেও এ রমজানেও থেমে নেই তাদের অপতৎপরতা। রমজান মাসে রকমারি ইফতার ও হালিমের নামে গ্রাহকের সাথে ভয়ংকর ডাকাতি শুরু করেছে। এক কেজি গরুর মাংস যেখানে হাড়সহ ৭০০ টাকা সেখানে ১ কেজি হালিমের নামে ৭৫০ টাকা নিয়ে গ্রাহকের পকেট কাটছে না বরং গ্রাহক ঠকাচ্ছে।

সাইদ নামে এক গ্রাহক জানান, গতকাল জামাল রেস্তোরাঁ থেকে ১ কেজি বিফ ও চিকেন হালিম নিয়েছি। গুণগত মান বজায় তো দূরের কথা বিফ হালিমে হাড্ডি ও মাংসহ ১৫ পিস খোঁজে পায় নি। চিকেন হালিমও একই অবস্থা। ছোট ছোট ১২ পিস চিকেনের টুকরা দিয়ে নামমাত্র হালিম বিক্রি করছে এ রেস্তোরাঁ। রকমারি ইফতারি আয়োজন করে গলাকাটা বাণিজ্যে মেতে উঠেছে এ প্রতিষ্ঠান।

তিনি কক্সবাজার জেলা প্রশাসন, ভোক্তা অধিকারের কাছে এ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন পাশাপাশি সচেতন মানুষ বলছেন এভাবে চলতে দেওয়া যায় না। অতিরিক্ত মূল্য নিয়ে গ্রাহক হয়রানি বন্ধ করতে হবে। অন্তত এ রমজানে দ্রব্যমূল্য যাতে নিয়ন্ত্রণ থাকে সেজন্য ভ্রাম্যমান আদালতের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জোর দাবি জানান।